স্বাস্থ্যকর ভেষজ (হার্ডকভার)
স্বাস্থ্যকর ভেষজ (হার্ডকভার)
৳ ৩৫০   ৳ ২৯৮
১৫% ছাড়
Quantity  

৯৯০ বা তার বেশি টাকার বই অর্ডারে ডেলিভারি চার্জ ফ্রি। কুপন: FREEDELIVERY

প্রথম অর্ডারে অতিরিক্ত ১০০ টাকা ছাড়;  ১০০০+ টাকার বই অর্ডারে। ৫০ টাকা ছাড়; ৫০০+ টাকার বই অর্ডারে। কুপন: FIRSTORDER

একাডেমিক বইয়ে ১০% পর্যন্ত  ছাড়

Home Delivery
Across The Country
Cash on Delivery
After Receive
Fast Delivery
Any Where
Happy Return
Quality Ensured
Call Center
We Are Here

ভেষজ ও মসলা সারাবিশ^ জুড়ে চিকিৎসা, রান্না এবং উপভোগ্য বিষয়গুলোতে ব্যবহার হয়ে আসছে। ভেষজ বা হার্ব ও মসলা উদ্ভিজ উৎস থেকে আসে। একেকটি হার্ব বা ভেষজ আলাদা আলাদা গন্ধ ও বৈশিষ্ট্যের অধিকারী হয়। তাদের একেকটি বৈশিষ্ট্যের গুণে ভেষজ ও মসলা নিজেদের অসাধারণ করে তোলে। ভেষজ উদ্ভিদের সবুজ ও পাতলা অংশ। তাজা ব্যবহারে সবচেয়ে কার্যকর ও স্বাদ বিশিষ্ট। শীত থেকে গরম প্রধান অঞ্চলে বেশি জন্মে। মসলা, গাছের পাতা থেকে মূল পর্যন্ত যেকোনো অংশ থেকে তৈরি হয়। লবঙ্গ ফুলের কুঁড়ি, দারচিনি গাছের ছাল, আদা গাছের মূল, জিরা একটি ফল, এলাচ বীজ থেকে তৈরি। মসলা সাধারণত স্বল্প পরিমাণে ব্যবহার করা হয়। শুকিয়ে ব্যবহারে এর স্বাদ বৃদ্ধি পায়। প্রাগৈতিহাসিক যুগে, মানব পূর্বপুরুষরা তাদের রান্নার পাত্রে তীক্ষè স্বাদযুক্ত পাতা যুক্ত করেছিলেন। রোমিং শিকারি-সংগ্রহকারী দলগুলো পাতা, শিকড়, ফুল ও বীজ নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছিলেন। পরবর্তীতে এক প্রজন্ম থেকে অন্য প্রজন্মে সে ফলাফল দেয়া হয়েছিল। সভ্যতার অগ্রগতি ও যাযাবর উপজাতিরা একেক জায়গায় বসতি স্থাপন করত। ভেষজ ও মসলা সেজন্য কেবল বন্য থেকেই সংগ্রহ করা হয়নি। বরং বাসস্থানের কাছাকছি ইচ্ছাকৃতভাবেও বপন করা হয়েছিল। কৃষিক্ষেত্রের শুরুতে উদ্ভিদগুলো খাদ্য, গন্ধ, জ্বালানি, সজ্জা, বিষ, চিকিৎসা ও অস্ত্রের জন্য ব্যবহার করা হতো। যা সভ্যতার উন্নতির সাথে সাথে ব্যবহারের পরিবর্তন ঘটেছে। প্রাচীন মিশরীয়, চীনা এবং ভারতীয়দের মধ্যে এ ধরনের হার্ব ও মসলার বিভিন্ন ব্যবহার দেখা যায়। প্রথমদিকে মিশরীয়রা শুধু ওষুধেই মসলা ও ভেষজ ব্যবহার করত না, প্রসাধনী, সুগন্ধি, রান্নায় এমনকি কীটপতঙ্গকে মেরে ফেলার জন্যেও ব্যবহার করত। পরবর্তীতে দেখা যায়, বিশেষ করে আদা, গোলমরিচ, লবঙ্গ, জয়ফল, দারচিনির আবিষ্কারগুলো ছিল অনেকটা নতুন পৃথিবী তৈরির উপকরণ হিসেবে। এই মসলাগুলো ইউরোপ ও ব্রিটেন চালু করেছিল। ক্রিস্টোফার কলম্বাস আমেরিকা আবিষ্কার করেছিলেন স্পাইস দ্বীপপুঞ্জের নতুন সমুদ্রপথ অনুসন্ধান করতে গিয়ে। ১৪৯৮ সালে ভাস্কো দা গামা পর্তুগিজ নেভিগেটর দিয়ে স্পাইস দ্বীপপুঞ্জের একটি পথ আবিষ্কার করেছিলেন। ১৫২০ সালে যা দখলের জন্য পর্তুগিজ, ডাচ এবং ব্রিটিশদের মধ্যে যুদ্ধও হয়েছিল। এরপর আস্তে আস্তে মসলা ও ভেষজের উৎপাদন, সংরক্ষণ পদ্ধতির আধুনিকীকরণ হয়। পরিবহনের উন্নয়নে ভেষজ ও মসলা সর্বক্ষেত্রে তুলনামূলক সহজলভ্য হয়ে যায়। এ বইয়ের মাধ্যমে দরকারি কিছু ভেষজ ও মসলার পরিচিতি, চাষ, প্রাপ্তিস্থান ও উপকারিতার তথ্য জানা যাবে। প্রত্যেকটি ভেষজের পুষ্টিগুণও নির্ণয় করা হয়েছে। বইটি মানুষের দীর্ঘ জীবনে নানা রোগ প্রতিরোধ ও স্বাস্থ্যসচেতনতায় গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রাখবে। এর তথ্য ও উপাত্ত সংগ্রহ সহযোগিতায় ছিলেন আমার সহকারি পুষ্টিবিদ সানজিদা আফরিন। সৈয়দা শারমিন আক্তার প্রধান পুষ্টিবিদ, ডায়েট কাউন্সেলিং সেন্টার

Title : স্বাস্থ্যকর ভেষজ
Author : সৈয়দা শারমিন আক্তার
Publisher : ক্রিয়েটিভ ঢাকা পাবলিকেশন্স
ISBN : 9789848071229
Edition : 1st Published, 2020
Number of Pages : 78
Country : Bangladesh
Language : Bengali

সৈয়দা শারমিন আক্তার। একটি প্রতিষ্ঠান। সাফল্যের সঙ্গেই দীর্ঘ ২৩ বছর যাবৎ স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছেন। কিন্তু পুষ্টিবিদ সৈয়দা শারমিন আক্তারকে জানতে হলে প্রথমে জানতে হবে অন্য আরেকটি নাম ‘ডায়েট কাউন্সেলিং সেন্টার’। তাঁর কর্মজীবন শুরু আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র (আইসিডিডিআর,বি) থেকে। তিনি স্বাস্থ্য সেবার ব্রত নিয়ে শুরু করেন স্বাস্থ্য ও পুষ্টি সমস্যা সমাধানে বিভিন্ন গবেষণামুলক কাজ। শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে বিভিন্ন বয়সের স্বাস্থ্যসমস্যা নিয়ে তাঁর রিসার্চ দেশি-বিদেশি জার্নালেও প্রকাশিত হয়েছে। এরপর সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত উদ্যোগে ২০০৪ সালে বাংলাদেশে স্বাস্থ্য সেবায় ভিন্ন ধারার প্রতিষ্ঠান ‘ডায়েট কাউন্সেলিং সেন্টার’ প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমানে তিনি এ প্রতিষ্ঠানে প্রধান পুষ্টিবিদ ও সিইও হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। নানা প্রতিকুল অবস্থার মধ্য দিয়ে মানুষের খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনে ব্যাপক সাড়া না পেলেও তিনি থেমে যাননি। বিভিন্ন ফ্রি মটিভেশন প্রোগ্রাম, সেমিনার, সিম্পোজিয়ামের মাধ্যমে তিনি সবসময় মানুষের বাহ্যিক এবং আভ্যন্তরীণ সৌন্দর্য রক্ষায় পুষ্টিকে প্রাধান্য দিয়েছেন। কোনো ধরণের সাপ্লিমেন্ট ছাড়াই বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে অনেকেই তাঁর পরামর্শে সুস্থ আছেন। ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, লিভার, আর্থ্রাইটিস, ওজন সমস্যা, বয়ঃসন্ধিক্ষণে পুষ্টি, ক্রিয়েটিনিন ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে আজ বহু মানুষ এর সুফল ভোগ করছেন। স্বাস্থ্য সুরক্ষায় মানুষকে নিরোগ, তরুণ ও সুস্থ রাখতে এবং খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনে তাঁর অগ্রণী ভ‚মিকা সর্বজনবিদিত।


If you found any incorrect information please report us


Reviews and Ratings
How to write a good review


[1]
[2]
[3]
[4]
[5]